বছর বছর গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় সেবার মান উন্নয়নের প্রশ্নটিকে বিবেচনায় নেওয়ার প্রমাণ মেলে না। অথচ তার পরিণতি হচ্ছে বেশি দামে বেশি মৃত্যু কেনা। নারায়ণগঞ্জে এই মসজিদের ক্ষেত্রে সরকারি এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতার পরিণতি ৩১ জন মানুষের প্রাণহানি। নিশ্চিত অবহেলার কারণেই এসব মৃত্যু ঘটেছে। এ অবহেলা অপরাধ তো বটেই, এর অন্য আরেকটি দিক হচ্ছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর ক্ষতির প্রশ্ন। এসব পরিবারের কেউ হারিয়েছেন একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে, কেউ হারিয়েছেন অপার সম্ভাবনাময় তরুণ সন্তানকে। কিন্তু তাঁদের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়াও অস্পষ্ট ও জটিল।
বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০ এবং তিতাসের গ্যাস সংযোগ নীতিমালায় গ্রাহকদের জরিমানাসহ নানা ধরনের সাজার কথা আছে। কিন্তু দুটির কোনোটিতেই গ্রাহকের ক্ষতিপূরণে কোম্পানির দায়দায়িত্বের বিষয়ে কিছু নেই। অর্থাৎ অপরাধ হিসেবে ফৌজদারি বিচার কিংবা ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানি বিচার কোনোটিরই কোনো পথ খোলা নেই।
এ অবস্থার অবসান প্রয়োজন। অবহেলাজনিত মৃত্যু বা হত্যার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক দায় নির্ধারণে ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় ধরনের আইন প্রণয়ন করা এবং তা কার্যকর করার প্রসঙ্গটিকেই এখন অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি।
কামাল আহমেদ: সাংবাদিক